ডাউনলোড লিংক নিচে 👇
IMDb rating ➤ 7.7/10
Directors ➤ James Gunn
Stars ➤ David Corenswet, Alan Tudyk, Grace Chan, Bradley Cooper Etc.
Genres ➤ Action, Adventure, Sci-Fi
Language ➤ Hindi
Country ➤ India
Clark Kent মানে Superman নতুন কোনো সুপারহিরো না — সে Metropolis শহরে অনেক দিন ধরেই সুপারহিরো হিসেবে কাজ করছে। দিনে সে রিপোর্টার, আর রাতে অপরাধ দমন করে। মানুষ তাকে ভালোবাসে, আবার ভয়ও পায়, কারণ তার শক্তি তো আর সাধারণ না! Lois Lane তার গার্লফ্রেন্ড, আর ওদের কেমিস্ট্রিটাও দারুণ।
একসময় একটা বিদেশি দেশে যুদ্ধ লাগে, আর Superman ভাবল, মানুষ বাঁচাতে হলে এখনই কিছু করতে হবে। সে নিজের ইচ্ছায় সেখানে ঢুকে পড়ে, কিন্তু বিপদ হলো, ওই দেশে ছিল এক অদ্ভুত শক্তির মেটাহিউম্যান, যার কাছে হেরে যায় Superman। মার খেয়ে সে পড়ে যায়, তখন তার বিশ্বস্ত কুকুর Krypto এসে তাকে বাঁচিয়ে নিয়ে যায় বরফের নিচে লুকানো Superman-এর ঘাঁটিতে — Fortress of Solitude।
ওখানে সে নিজের আসল পরিচয় নিয়ে বড় এক সত্য জানতে পারে — Krypton থেকে তাকে পাঠানো হয়েছিল যেন সে একদিন পৃথিবী দখল করে! মানে, সে শুধু একটা নিঃসন্তান পৃথিবীর অতিথি না, বরং Krypton-এর ভবিষ্যৎ হিসেবেও পাঠানো হয়েছিল। এটা জানার পর Superman একদম দ্বিধায় পড়ে যায় — সে কি Kryptonian? নাকি পৃথিবীর মানুষ?
এদিকে Lex Luthor, যে কিনা বড়লোক, রাজনীতিবিদ টাইপ চালাক ভিলেন, Superman-কে নিচে নামানোর চক্রান্ত শুরু করে। সে এমন এক যন্ত্র বানায়, যেটা দিয়ে একটা ছোট ইউনিভার্স তৈরি করে আর Superman-কে সেখানে ফাঁদে ফেলে। তার পরে Superman-এর ডিএনএ দিয়ে বানায় একটা ক্লোন — Ultraman, যে দেখতে Superman-এর মতোই কিন্তু মনের দিক থেকে ভয়ানক খারাপ।
Ultraman দুনিয়ায় নেমে আসে, আর Superman আটকে পড়ে ওই পকেট ইউনিভার্সে। কিন্তু Superman হাল ছাড়ে না। অনেক কষ্টে সে বেরিয়ে আসে, আর তখন তার পাশে দাঁড়ায় কিছু হিরো — Green Lantern, Mister Terrific, আর Hawkgirl। তারা সবাই মিলে শুরু করে দানবদের বিরুদ্ধে লড়াই।
শেষ দিকে জমে ওঠে ভীষণ এক যুদ্ধ — একদিকে Ultraman, অন্যদিকে Superman। সাথে ছিল Engineer নামের এক ন্যানো রোবট ভিলেনও। কিন্তু Superman তার সাহস, শক্তি আর বিশ্বাস দিয়ে সবকিছুর শেষ টান দেয়। Ultraman-কে ব্ল্যাক হোলে পাঠিয়ে দেয়, Lex-এর ফাঁদ ভেঙে দেয়, আর আবার মানুষদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরে আনে। Lois Lane পুরো ঘটনা মিডিয়ায় তুলে ধরায় Lex-এর মুখোশ খুলে পড়ে।
সব শেষে Superman বুঝে যায় — জন্ম যেখানেই হোক না কেন, তার মন আর বিশ্বাস সব কিছুই এই পৃথিবীর জন্য। সে এই পৃথিবীকেই নিজের ঘর বলে মানে।
সিনেমার একদম শেষ দৃশ্যে দেখা যায় Superman আর Krypto চুপচাপ বসে আছে চাঁদের উপর, পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে। পোস্ট-ক্রেডিটে এক বিশাল ফাটল দেখা যায় Metropolis শহরে, ইঙ্গিত দেয় — সামনে হয়তো আরও বড় কিছু আসতেছে।