ডাউনলোড লিংক নিচে 👇
MDb rating ➤ 7.8/10
Directors ➤ Arun Gopalan
Stars ➤ John Abraham, Manushi Chhillar, Hadi, Madhurima Tuli Etc.
Genres ➤ Action, Thriller
Language ➤ Hindi
Country ➤ India
Platform ➤ ZEE5

🕵️ গল্প শুরু

২০১২ সালের এক শীতের সকাল। দিল্লির ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ কেঁপে ওঠে চারদিক—বুম!
ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে ভয়ঙ্কর এক বোমা বিস্ফোরণ। মানুষ দৌড়াচ্ছে, চিৎকার, ধোঁয়া, অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন—সব মিলিয়ে এক আতঙ্কের শহর। খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।

এমন সময় মঞ্চে ঢোকে ACP রাজীব কুমার—স্পেশাল সেলের একজন তুখোড় অফিসার। ঠান্ডা মাথা, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, আর কাজের প্রতি এক অদম্য দৃঢ়তা—এই তার পরিচয়। তাকে ডেকে পাঠায় উচ্চপদস্থরা।

উর্ধ্বতন কর্মকর্তা: “রাজীব, এই হামলার থ্রেড অনেক দূর পর্যন্ত গেছে। তোর জন্য একটা গোপন মিশন আছে—তোর যেতে হবে তেহরান।”
রাজীব: “তেহরান? এত দূরে?”
উর্ধ্বতন: “এটাই এখন একমাত্র উপায়।”

🌏 তেহরানে আগমন

তেহরানে পৌঁছে রাজীব বুঝতে পারে—এখানে সবকিছু ধোঁয়াশায় ঢাকা। রাস্তায় অপরিচিত মুখ, ছায়ার মতো পিছু নেয় কিছু মানুষ, আর চোখের কোণে সবসময় লেগে থাকে সন্দেহ।

শুরুতে সে ভাবে—দোষীদের খুঁজে বের করা সময়ের ব্যাপার। কিন্তু অল্প দিনেই বোঝে—এখানে তিন দেশের খেলা চলছে: ভারত, ইরান, আর ইসরায়েল—সবাই নিজের নিজের চাল চালছে, আর কেউই কাউকে পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না।

🎭 বন্ধু নাকি শত্রু?

এখানে তার সাথে পরিচয় হয় SI দিভ্য রানা (মানুশী ছিলার)–এর, যে দেখতে যেমন সাহসী, মিশনে তেমনি দক্ষ। দিভ্যার সাথে কাজ করতে করতে রাজীব নতুন কিছু সূত্র পায়। কিন্তু যতই এগোয়, ততই বোঝে—এই খেলায় মুখের হাসি মানেই বিশ্বাসযোগ্যতা নয়।

কিছু লোক তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়, আবার পরের মুহূর্তেই বিশ্বাসঘাতকতা করে বসে। রাজীব যেন এক বিশাল দাবার বোর্ডে পড়ে গেছে, যেখানে সব ঘুঁটি নড়ে ঠিক তখনই, যখন তুমি ভাবো সব ঠিক হয়ে গেছে।

🕳️ ষড়যন্ত্রের গভীর গর্ত

তদন্ত যত গভীরে যায়, ততই বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর সব তথ্য। দিল্লির ওই হামলা আসলে একটা বিশাল পরিকল্পনার ছোট্ট অংশ। এর পেছনে আছে রাজনৈতিক ক্ষমতার খেলা, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আর গুপ্তচরবৃত্তির ভয়ানক নেটওয়ার্ক।

এমনকি এক সময় ভারত সরকারও রাজীবের পেছন থেকে হাত গুটিয়ে নেয়। এখন সে একদম একা—আর চারপাশে শুধু শত্রু। তবু সে থামে না, কারণ তার চোখে একটাই লক্ষ্য—সত্যি বের করা, যেকোনো মূল্যে।

⚖️ শেষের লড়াই

শেষে রাজীব এমন এক পরিস্থিতিতে পড়ে, যেখানে তার সামনে দুইটা রাস্তা—

একটা: সব সত্যি প্রকাশ করে দেওয়া, যদিও তাতে তার নিজের জীবন যাবে।

আরেকটা: চুপ করে বেঁচে থাকা, কিন্তু অপরাধীরা মুক্ত থেকে যাবে।

তীব্র ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি, আর মরণপণ লড়াইয়ের পর—গল্প এমন এক জায়গায় শেষ হয়, যেখানে দর্শকও ভাবতে থাকে—সত্যের জয় হলো, নাকি এই খেলায় আবারও রাজনীতি হাসলো?

এইভাবে সাজালে "Tehran" শুধু এক অ্যাকশন মুভি না, বরং একটা টানটান গোয়েন্দা থ্রিলার হয়ে দাঁড়ায়, যেখানে প্রতিটা মুহূর্তে তুমি ভাববে—“আরে, এরপর কী হবে?”